বগুড়া প্রতিনিধি: চাঁনমিয়া মন্ডল
বগুড়াতে ভুয়া আগাম জামিননামা তৈরির ঘটনায় হাইকোর্টের গ্রেপ্তারি নির্দেশনা দেয়ার ৯ দিন পর বগুড়া সদর যুবলীগ নেতা ও নবনির্বাচিত কাউন্সিলর আমিনুল ইসলামসহ আরো ১৬ জনকে কারাগারে পাঠিয়াছে আদালত।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় আদালতে স্বশরীরে আত্মসমর্পণের পর জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম আসমা মাহমুদ এই আদেশ দেন বলে আসামী পক্ষের আইনজীবী আব্দুল মান্নাফ নিশ্চিত করেছেন।
কারাগারে পাঠানো আসামীরা হলো, বগুড়া পৌর কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম, আবদুল আলিম, আনোয়ার মন্ডল, মোহাম্মদ বাদল, সেলিম, কিবরিয়া, রাশেদুল, সাদ্দাম, মাহমুদ, রতন, সেলিম রেজা, রুহুল আমিন, জাহিদুর রহমান, নুর আলম মন্ডল, বিপুল ও সুমন প্রামানিক।
আইনজীবী আব্দুল মান্নাফ সাংবাদিকদের জানান, ওই মামলায় গতকাল বুধবার আদালতে ১৬ আসামী আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। কিন্তু বিচারক তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য বগুড়া মোটরমালিক গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গত ৯ ফেব্রুয়ারি দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়।
এ ঘটনায় ১০ ফেব্রুয়ারি ৫ শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি তিনটি মামলা হয়। এর মধ্যে একটিতে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহনের ছোট ভাই মশিউল আলম দীপন বাদী হয়ে উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমিনুল ইসলামকে প্রধান করে ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
ওই মামলায় ৩৩ আসামির মধ্যে ৩০ জনের জামিননামার ভুয়া নথি তৈরি করা হয়।ভুয়া জামিননামার বিষয়টি গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ধরা পড়ার পরপরই বিচারপতি মোঃ আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ আসামিদের গ্রেপ্তারের আদেশ দেয়।
মামলার বিষয়ে অনুসন্ধান করে জানা যায়, বিচারপতি মোঃ আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের বেঞ্চ উল্লেখ করে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি জামিন পাওয়ার দাবি করেন বগুড়ার যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলামসহ ৩০ আসামি।
তবে ওই দিন এই আদালত থেকে এমন কোনো আদেশ হয়নি। এমনকি সেখানে যেসব আইনজীবীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাও ভিত্তিহীন।
Discussion about this post