ডেস্ক রিপোর্ট
গৃহবন্দি আছি, ৮৪তম জন্মদিনে বললেন ড. কামাল । আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ও বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেনের ৮৪তম জন্মবার্ষিকী আজ(২০ এপ্রিল)। বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে এবার তার জন্মদিনের কোনো আয়োজন করা হয়নি।
তবে, জন্মদিন উপলক্ষে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র এই আইনজীবীকে তার সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা খুদে বার্তা ও মুঠোফোনে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন বলে জাগো নিউজকে জানান ড. কামাল হোসেন।
শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘গৃহবন্দি হিসেবে আছি। শরীর এখনো সুস্থ আছে। সকলের আন্তরিকতা ও ভালোবাসা নিয়ে বেঁচে আছি। কিন্তু এর আগের জন্মদিনগুলোতে পরিবারের সদস্য, বন্ধু ও সহকর্মীরা এ উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করতেন। এবার কোনো অনুষ্ঠান হচ্ছে না। তবে পরিস্থিতি ভালো হলে সবাইকে নিয়ে এক সাথে হবো, আড্ডা দেবো।’
দেশের এই প্রবীণ আইনজীবীর জন্মদিন নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আজ বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতা, সিনিয়র আইনজীবী, আইন জগতের জীবন্ত কিংবদন্তি, ডক্টর কামাল হোসেন স্যারের জন্মদিন! আল্লাহ স্যারকে নেক হায়াত দান করুন।

অবিভক্ত ভারতের কলকাতায় ১৯৩৭ সালের ২০ এপ্রিল কামাল হোসেনের জন্ম। বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মী ড. হামিদা হোসেনের সঙ্গে তার বিয়ে হয় ১৯৬৪ সালে। তাদের দুই মেয়ে সারা হোসেন ও দিনা হোসেন।
কামাল হোসেনের শিক্ষাজীবন শুরু কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলে (১৯৪৪-৪৯)। ঢাকার সেন্ট গ্রেগরিজ স্কুলে মাধ্যমিক এবং নটর ডেম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন তিন।
যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৫ সালে অর্থনীতিতে ডিগ্রি নেন তিনি। এরপর ১৯৫৭ সালে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনশাস্ত্রে স্নাতক (সম্মান) এবং একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৮ ও ১৯৬৪ সালে যথাক্রমে বিসিএল ও ডক্টরেট ডিগ্রি নেন। ১৯৫৯ সালে তিনি ঢাকা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন।
১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান তৈরির জন্য যে ‘খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটি’ হয়েছিল, ড. কামাল হোসেন ছিলেন সেই কমিটির চেয়ারম্যান। বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে তিনি প্রথমে আইনমন্ত্রী, পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সবশেষে পেট্রোলিয়াম ও খনিজ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।
Discussion about this post