সিলেট প্রতিনিধ:
সিলেটের সাহেববাজারের পাঠানগাঁও এলাকায় ঘরের পাশে ফার্ম নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে ভোগান্তি করতে করতে হাইকোর্টে রিট আবেদনের পর পর মামলার আসামি হলেন ভুক্তভোগী আশরাফ আহমদ।
গত ২৮ তারিখ স্থানীয় একটি পক্ষের সাথে ফার্ম মালিক নজরুল ইসলামের মারামারির ঘটনায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থেকেও মামলার আসামি হতে হয়েছে আশরাফ আহমদকে।
সিলেটের পরিবেশ অধিদপ্তর ও এক ভোগান্তির গল্প গেলো ২৮ জুন বিকালে পাঠানগাঁও রাস্তার প্রবেশ মুখে মারামারিতে আহত হন মাহিশা পোল্ট্রি ফার্মের মালিক নজরুল ইসলাম। পরে এ ঘটনায় ২ জুলাই সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানায় আশরাফ আহমদকে দ্বিতীয় আসামি করে মামলা দায়ের করেন তিনি।
এদিকে পাঠানগাঁও রাস্তার প্রবেশ মুখের রাহাত আজিম ফার্মেসির ব্যবসায়ী ডা. মোহাম্মদ রাহাত আজিম বলেন, আমি ঘটনাটা দেখেছি। যখন ঘটনা ঘটে তখন আশরাফের দোকান বন্ধ ছিলো। এখানে আশরাফ ছিলো না। রুবেল নামের একজনের সাথে হঠাৎ করে হাতাহাতি শুরু হয়। কিন্তু কি কারণে হয়েছে তা জানি না। রুবেল এবং নজরুল দুইজনই দুটি সিএনজি করে আসছিলেন। উভয়ের সিএনজি থামার সাথে সাথে মারামারি হয়ে যায়। তখন আশরাফ ঘটনাস্থলে ছিলেন না।
এদিকে আশরাফের অভিযোগ ফার্ম নিয়ে রিট করার কারণেই তাকে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। অবশ্য আশরাফের কথার সাথে সম্মতি জানালেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন থেকে নজরুলের স্থাপন করা একটি ফার্ম নিয়ে আশরাফ ভুক্তভোগী। সবশেষ ফার্মের গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। হাইকোর্ট থেকে ইতোমধ্যে রুল জারি হয়েছে। এ কারণে নজরুল আশরাফকে ফাঁসাতে ফন্দি আঁকছেন।
তবে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ মাইনুল জাকির বলেন, মামলা হয়েছে। এখন এটি তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অহেতুক কাউকে হয়রানি করা হবে না।
Discussion about this post