নিজস্ব প্রতিবেদক
সর্বকালের সর্বযুগের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য ভাগ্নে, রণাঙ্গনের বীর গেরিলা যোদ্ধা, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও মুজিব বাহিনীর অধিনায়ক, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ শেখ ফজলুল হক মনির সুযোগ্য পুত্রবধূ, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সম্মানিত চেয়ারম্যান অধ্যাপক শেখ ফজলে শামস পরশের সুযোগ্য সহধর্মিনী, আইনজীবিদের ঐক্য, বিশ্বাস, আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক নির্বাচিত ট্রেজারার, রাজশাহী ইউনিভার্সিটি ল এলামনাই এসোসিয়েশন (রুলা ) এর সম্মানিত সভাপতি, উচ্চশিক্ষিত সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম নেয়া নিরহংকারী ব্যক্তিত্ব, জামাত-শিবির মৌলবাদীদের ক্যান্টনমেন্ট খ্যাত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহারের সবুজ চত্বর থেকে বেড়ে ওঠা ছাত্রলীগ নেতৃত্ব অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী শুভ জন্মদিন আজ।
বহুগুণে গুণান্বিত একজন শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব নাহিদ সুলতানা যুথী। আজকের এই বিশেষ দিনটিতে কৃতজ্ঞচিত্তে তার কর্মজীবনের দুই একটি বিষয়কে স্মরণ করা হচ্ছে যা সকলকে সব সময় অনুপ্রাণিত করবে।
সকলেই জানে সর্বজনশ্রদ্ধেয় শেখ পরিবারের পুত্রবধূ অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী যে সময় রুলার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন সে সময় রুলাতে বিরাজ করছিল চরম মাত্রায় সাংগঠনিক অস্থিরতা, অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও গ্রুপিং।ব্যক্তি ও রাজনৈতিক স্বার্থে রুলাকে ব্যবহারের পাঁয়তারা চলছিল।
ফলশ্রুতিতে রুলার সকল সদস্যগনের অন্তরে গভীর ক্ষোভ বিরাজ করছিল। গভীর সঙ্কটে নিপতিত হয়েছিল রুলার ইমেজ। এমনি একটি সংকট মুহূর্তে তিনি রুলার সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করে দীর্ঘ অনেক বছর পর রুলা সংগঠনটিতে প্রাণের সঞ্চার ঘটিয়েছিলেন।রুলাকে তার প্রতিষ্ঠাকালীন লক্ষ্য ও আদর্শে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
যথাযথ ও সময়োপযোগী সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করে, সংগঠনটির অভ্যন্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তিনি ইতোমধ্যেই রুলার সকল সাধারণ সদস্যদের মন জয় করে নিয়েছেন। তার সুদক্ষ নেতৃত্বে রুলা তার সাংগঠনিক কার্যক্রম কে আঞ্চলিকতার গণ্ডি পেরিয়ে বহির্বিশ্বেও সম্প্রসারিত করতে সক্ষম হচ্ছে।
এমনিভাবে তিনি জাতীয় সঙ্কট মুহূর্তে, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় আইনের শাসন যখনই হুমকির মুখে পড়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন নির্ভরযোগ্য সৈনিক হিসেবে তিনি প্রাণের মায়া ত্যাগ করে এগিয়ে এসেছেন। সাংবিধানিক অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করতে ১/১১ এর সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের Emergency Provision এর বিরুদ্ধে তৎকালীন সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সকল প্রকার রাষ্ট্রীয় হুমকিকে উপেক্ষা করে মহামান্য উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করেছিলেন। সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন।
গণতন্ত্রের মানসকন্যা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অগ্নিবীণা, যার ধমনীতে বঙ্গবন্ধুর রক্তস্রোত প্রবহমান, যার কন্ঠে বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠ প্রতিধ্বনিত হয় এবং সংকটে-সংগ্রামে যিনি অবিচল-অনির্বাণ, আমাদের প্রানপ্রিয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নানা অনিয়মের প্রতিবাদ করায় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই বেআইনিভাবে গ্রেফতারের প্রতিবাদে আইনজীবীদের ঐক্যবদ্ধ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি আন্দোলনে রাজপথে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
প্রকৃতপক্ষে অন্যায়, অবিচারের বিরুদ্ধ কণ্ঠ রোধ করার জন্য, গণতন্ত্রকে বন্দি করার জন্যই সেদিন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।

কুষ্টিয়াতে বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু সেই বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের উপর যখন আঘাত করা হলো তখনও তিনি এগিয়ে এসেছিলেন। মৌলবাদী, স্বাধীনতা বিরোধী, বিএনপি-জামায়াত হেফাজতে ইসলামের সকল রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য সহ দেশের সকল ভাস্কর্যের সুরক্ষায় উচ্চ আদালতে রিট মামলা করেছিলেন এবং মহামান্য উচ্চ আদালত থেকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য সহ দেশের সকল ভাস্কর্যের সুরক্ষার আদেশ লাভের মাধ্যমে সাংবিধানিক মর্যাদা সমুন্নত রাখার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন।
একইভাবে তিনি নিজের জীবনের নিরাপত্তার কথা না ভেবে বিএনপি জামায়াত নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ১৫ই আগস্ট ভুয়া জন্মদিন পালনের বিরুদ্ধে মহামান্য উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করেছিলেন এবং সমগ্র বাঙালী জাতির সামনে বিএনপি এবং বেগম খালেদা জিয়ার নির্লজ্জ মিথ্যাচারকে উন্মোচন করেছেন।
মানবতা যেখানে বিপন্ন, বিচারের বাণী যেখানে নীরবে নিভৃতে কাঁদে সেখানে অসহায় নিরীহ নিরপরাধ বিচারপ্রার্থীদের পাশে দাড়িয়ে বিনা পারিশ্রমিকে আইনি সেবা দিয়ে ন্যায় ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আপনি বিভিন্ন সময় উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন।
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের ঝুমুন দাস আপন এরকম একটি উদাহরণ। বিনা বিচারে মাসের-পর-মাস বন্দি ঝুমুন দাস আপনের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। গরীব অসহায় ঝুমুন দাস আপন এর পরিবার যখন আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত ঠিক সেই মুহূর্তে তাদের পাশে আপনি ছায়া হয়ে দাঁড়িয়েছিলন। বিনা পারিশ্রমিকে তাকে আইনি সহায়তা দিয়ে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত করে এনে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন যা সকলকে গর্বিত করেছে।
এছাড়াও তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য তনয়া, বিশ্ব শান্তির অগ্রদূত, মানবতার জননী, গণতন্ত্রের মানস কন্যা, বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা প্রধানমন্ত্রী, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ টেকসই উন্নত বাংলাদেশের রূপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সফল রাষ্ট্রনায়ক দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে তার জীবনসঙ্গী বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সুযোগ্য সম্মানিত স্বামী বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সুযোগ্য সম্মানিত চেয়ারম্যান অধ্যাপক শেখ ফজলে শামস পরশ ভাইকে নিয়মিত পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে যুবলীগকে জননেত্রী শেখ হাসিনার শক্তিশালী ভ্যানগার্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
একইসাথে আইনজীবীদের ও আইন পেশার মানোন্নয়নেও তিনি নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। বৈশ্বিক মহামারী করোনাকালীন সংকটে সারা বাংলাদেশের আইনজীবীদের মাঝে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ, করণা বুথ স্থাপন সহ স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছেন। বিজ্ঞ আইনজীবীদের খোঁজখবর নিয়েছেন এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন।
রুলা পরিবারের পক্ষ থেকে এবং আরো অনেক আইনজীবীগণ ও যুবলীগের কর্মীরা আজকের এই বিশেষ দিনটিতে মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট তার ও তার পরিবারের সকল সদস্যদের সুখ-সমৃদ্ধি, সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেছেন, যার অংশ হিসেবে সুপ্রিম কোর্ট মসজিদে দোয়া ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরন করা হয়।
Discussion about this post