ডেস্ক রিপোর্ট
ট্রাকচাপায় নিহত মায়ের পেট ফেটে জন্ম নেয় এই ফুটফুটে শিশুটি । ময়মনসিংহের ত্রিশালে ট্রাকচাপায় মায়ের পেট ফেটে জন্ম নেওয়া শিশুর মা-বাবা এবং বোন নিহতের বিষয়ে তদন্ত চেয়ে রিট করা হয়েছে। একই সঙ্গে শিশুটি প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত তার লালন-পালনের যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং কল্যাণ নিশ্চিত করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৮ জুলাই) জনস্বার্থে আইনজীবী কানিজ ফাতেমার পক্ষে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহাসিব হোসেন। রিটে দুর্ঘটনার বিষয়ে তদন্ত ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে কী সহযোগিতা করা যায় তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
এতে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, সড়ক পরিবহন সচিব, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটিকে (বিআরটিএ) বিবাদী করা হয়েছে।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী সৈয়দ মাহাসিব হোসেন নিজে। তিনি বলেন, রিটটি হাইকোর্টের বিচারপতি খিজির আহেমেদ চৌধুরী ও বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে।
রোববার (১৭ জুলাই) বিষয়টি হাইকোর্টে উপস্থাপন করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী। বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের বেঞ্চে বিষয়টি উত্থাপিত করা হয়।
বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের কপি আদালতে উপস্থাপন করে ওই আইনজীবী শিশুর দেখভাল ও ভবিষ্যতের জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে স্বঃপ্রণোদিত আদেশ প্রার্থনা করে আর্জি জানান। তখন আদালত আইনজীবীকে বিষয়টি আবেদন আকারে নিয়ে আসতে বলেন। তারই ধারাবাহিকতায় রিটটি করা হয়।
শনিবার (১৬ জুলাই) বিকেলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ত্রিশালের কোর্টভবন এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় ট্রাকচাপায় প্রাণ হারান অন্তঃসত্ত্বা রত্না বেগম (৩২), তার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম (৪০) ও তাদের ছয় বছরের মেয়ে সানজিদা।
প্রসবের নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ায় নিজের আলট্রাসনোগ্রাম করানোর জন্য রত্না বেগম তার স্বামী ও ছয় বছরের মেয়েকে নিয়ে স্থানীয় একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে ট্রাকচাপায় ঘটনাস্থলেই তারা নিহত হন। তবে এ সময় অলৌকিকভাবে মায়ের গর্ভ ফেটে ভূমিষ্ঠ হয় ফুটফুটে এক নবজাতক। জন্ম নিয়ে রাস্তায় পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যায় পুলিশ ও আশপাশের লোকজন। বেঁচে যায় নবজাতকটি।
Discussion about this post