সাধারনত অসুস্থ হওয়ার সাথে সাথেই ডিম ও ভিটামিন খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। কারণ আপাতদৃষ্টিতে,এটা সবাই জানে, দুর্বল শরীরের জন্য পুষ্টি ঘাটতি হিসেবে কাজ করে এসব খাদ্যসামগ্রী।কিন্তু অবাক হবেন যখন জানবেন শরীরে স্বাভাবিক কর্মচাঞ্চল্য আনতে ভিটামিন অথবা ডিম খেলেও এসব খাদ্য আমাদের মৃত্যুর দিকেই ঠেলে দেয়!
সম্প্রতি জানা অজানার পরিচিত পৃথিবীতে অবাক হয়ে ওঠার মতো এমনইএক তথ্য দিয়েছেন প্রখ্যাত পুষ্টিবিজ্ঞানী অ্যালান গ্যাবি।
একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে খাদ্য ও পুষ্টিবিষয়ক বহুসংখ্যক বইয়ের প্রণেতা অ্যালান জানান, “ডিম শরীরের উপকারি অনেক পুষ্টির উৎস, এটি শরীরে অনেক কোলেস্টেরল যোগান দেয়। কিন্তু প্রাণীদের উপর একটি গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে খাদ্য হিসেবে কোলেস্টেরল সরবরাহ করলেও ডিম শরীরে শক্তি যোগায় না। বরং শরীরে ডিম মাদকের মতো কাজ করে। এটি সিগারেটের মতোই ক্ষতিকর!
আবার, অতিরিক্ত ভিটামিন অনেক সময় শরীরের জন্য ক্ষতিকরও। অনেকদিন ধরে ভিটামিন খাওয়ার কারণে তাদের শরীরে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। উদ্বেগের কথা হলো, অনেকে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, হূদরোগের মতো প্রাণঘাতী রোগের উপশমের জন্যও ভিটামিন ট্যাবলেট খেয়ে থাকেন। যেটা হিতে বিপরীতই হতে পারে।”
অ্যালান গ্যাবি আরও বলেন, `অতিরিক্ত ভিটামিন স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। শরীরে যে স্বাভাবিক পুষ্টি প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে সেটা নষ্ট হয়ে যায় অতিরিক্ত ভিটামিন গ্রহণের কারণে। অনেক সময় এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে ক্ষুধামন্দা, ডায়রিয়া, মাথাব্যথা, লিভার বড় হওয়া প্রভৃতি উপসর্গে ভুগতে হয়। তাছাড়া গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ভিটামিন নিলে গর্ভস্থ শিশুর জন্মগত ত্রুটি হতে পারে। অতিরিক্ত ভিটামিন-সি পেট ব্যথা কিংবা ডায়রিয়া বাড়িয়ে দেয় । অতিরিক্ত ভিটামিন-ডি বমি বমি ভাব, তলপেটে ব্যথার সৃষ্টি করতে পারে।
অ্যালান তাঁর গবেষণানুযায়ী পরামর্শ দিয়ে বলেন; যে কোনো শারীরিক প্রয়োজনে হুট করে ভিটামিন গ্রহণ না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াটা হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
Discussion about this post