বেসরকারি টিভি চ্যানেল একুশে টেলিভিশিনের (ইটিভি) চেয়ারম্যান ও সিইও আবদুস সালামকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান জানিয়েছেন, পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় করা একটি মামলায় সালামকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
২০১৪ সালের ১৬ নভেম্বর এক নারী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ওই নারীর অভিযোগ, তাঁকে জড়িয়ে গত বছরের ৬ নভেম্বর রাতে ইটিভিতে ‘একুশের চোখ’ নামক অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, মামলায় আরো চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন বাদীর ধর্মভাই জহিরুল ইসলাম, সাবেক স্বামী শাহ জালাল, জালালের বোনের স্বামী জাকির হোসেন ও ইটিভির সাংবাদিক মো. ইলিয়াস।
এদিকে মঙ্গলবার তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু সাংবাদিকদের তার গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, একুশে টিভির চেয়ারম্যানকে পর্ণোগ্রাফী অ্যাক্টের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে কারওয়ান বাজারের ইটিভির নিজ কার্যালয় থেকে বের হয়ে বাসায় যাওয়ার সময় আব্দুস সালামকে ১০/১২ জন ব্যক্তি গাড়িসহ নিয়ে যায়। এ সময় তার গাড়ি চালককে নামিয়ে দেয়া হয়। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ইটিভির চিফ ফ্যাসিলিটিস কো-অর্ডিনেটর সাঈদ মুন্না জানান, চেয়ারম্যান আবদুস সালাম রাত সাড়ে ৩টার দিকে অফিস থেকে বের হলে ইটিভি কার্যালয়ের সামনে থেকে ডিবি পরিচয়ে কয়েকজন তাকে ধরে নিয়ে যান।
সোমবার ইটিভি’র অনুষ্ঠান ঢাকার কিছু এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দেখা যায়নি। ক্যাবল অপারেটররা বিভিন্ন স্থানে ইটিভি’র সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়ার পর থেকে অভিযোগ আসে চ্যানেলটির কার্যালয়ে। বিকেলে চ্যানেলটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে- এমন গুজবও রটে যেসব এলাকায় অনুষ্ঠান দেখা যায়নি সেসব এলাকায়।
ঢাকার বড় অংশের ক্যাবল লাইন পরিচালনাকারী একটি প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চিঠি দিয়ে তাদের জানানো হয়েছে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ইটিভি’র সম্প্রচার করা যাবে না। এদিকে গতকাল বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও ইটিভি’র সম্প্রচার বন্ধের কথা উল্লেখ করেন।
যে অ্যাডাল্ট ভিডিও প্রচারের কারণে গ্রেফতার হলেন ইটিভি চেয়ারম্যান তা দেখতে ক্লিক করুন
http://youtu.be/NazTlQ8HixQ
Discussion about this post