বিডি ল নিউজঃ আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান। তাই তো অপরাধ করলে যে কোন শ্রেণীর লোককেই শাস্তি ভগ করতে হয়। তবে, অপরাধ প্রমাণের আগে কাউকেই দোষী সাবস্ত করা উচিত নয়। তবে, পেসার রুবেল এখন ধর্ষণ মামলায় চার দেয়ালের ভেতর বন্দী জীবন কাটাচ্ছেন। চিত্রনায়িকা হ্যাপীর করা মামলায় আজকে এ অবস্থা তার। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বিশ্বকাপে তার অংশগ্রহণ। যে লক্ষ্যের জন্য তিনি দীর্ঘ বছর সাধনা করে এসেছেন তা আজ চোখের সামনেই ভেঙে পড়ছে। এসব কথা কি চুপচাপ বসে বসে ভাবেন কারাগারে বন্দী রুবেল? কেন্দ্রীয় কারাগারের ৭ নম্বর সেলে আর দশজন সাধারণ কয়েদির মতোই দিনরাত কাটছে বিশ্বকাপ খেলা এ ক্রিকেটারের।
৪৮ ঘণ্টায় পরিবারের সদস্যরা ছাড়া জাতীয় দলের ক্রিকেটার বা বোর্ড সংশ্লিষ্ট কেউই তাকে দেখতে যাননি। তবে জেলের অন্যান্য বন্দীরা রুবেলের জেলে যাওয়ার খবর শুনেই ভিড় জমান তার সেলের সামনে।
অনেকে আবার ছুটে যান তার সঙ্গে হাত মেলাতে। অনেকই আবার তার খোঁজ-খবর নিতে ব্যস্ত হয়ে যান। সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী শুক্রবার বিকেলে গণমাধ্যমকে জানান, ৮/১০ জন সাধারণ কয়েদির মতোই রুবেলকেও জেলে রাখা হয়েছে। তিনি কারাগারের বিশেষ সুবিধার আওতায় পড়েন না। জেল সুপার আরো জানান, বৃহস্পতিবার রুবেলের বাবা-মা তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন। এ সময় তারা কিছু ফল ও শুকনো খাবার নিয়ে আসেন। তবে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত তার সঙ্গে দেখা করতে কেউ আসেনি।
কারাগারের বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, রুবেল কারাগারে বেশ বিমর্ষ অবস্থায় রয়েছেন। কারো সঙ্গে তেমন কথা বলছেন না। এদিকে রুবেলের বিষয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের করণীয় নিয়ে বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকতা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন গণমাধ্যমকে জানান, যেহেতু বিষয়টা আদালতের, তাই এখানে তাদের করার কিছুই নেই।
তিনি আরো জানান, কারো ব্যক্তিগত স্পর্শকাতর বিষয়ে বিসিবির কী করার আছে? রুবেলের বিষয়ে বিসিবিতে আলোচনা হবে। এরপর একটা সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
রুবেল জামিন না পেলে কী করা হবে তা জানিয়ে বোর্ডের প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, ‘রুবেলের বিষয়ে বিসিবি সিদ্ধান্ত নেবে। বিসিবি সিদ্ধান্ত নিলেই তারা বিকল্প চিন্তা করবেন।
তিনি বলেন, আসলে এ বিষয়ে নির্বাচকদের তো তেমন কিছুই করার নেই। বিষয়টা পুরোপুরি বিসিবির। উল্লেখ্য ১৩ ডিসেম্বর নবাগত অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপি ধর্ষণের অভিযোগ এনে রাজধানীর মিরপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন ৯/১ ধারায় রুবেলের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
এরপর গত ১৫ ডিসেম্বর এ মামলায় হাইকোর্ট রুবেলকে চার সপ্তাহের জামিন দেন। এ সময়ের মধ্যে তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দেয়া হয় ওই আদেশে।
এরপর গতকাল নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন রুবেল। আদালত শুনানি শেষে জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন জাতীয় দলের এ ক্রিকেটারকে।
২৪ জানুয়ারি ফ্লাইটে উঠবে বাংলাদেশ দল। এর আগে জামিনে মুক্তি দেওয়া হবে কি রুবেলকে?- এই প্রশ্ন এখন ১৬ কোটি ক্রিকেটপ্রেমী বাঙ্গালীর মুখে।
Discussion about this post