ফরিদ সোবহান, চবি প্রতিনিধি, বিডি ল নিউজঃ গত বছরের ১৪-ই ডিসেম্বর সঙ্ঘটিত তাপস হত্যাকান্ডের বিচারকে প্রলম্বিত করে খুনিদের ক্যাম্পাসে পুনঃ প্রতিষ্ঠা ও ঘৃণ্য সাম্প্রদায়িক এজেন্ডা বাস্তবায়নের ষড়যন্ত্র কঠিন কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।
রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ঘোষণা দেয় চবি ছাত্রলীগের একাংশ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি পাঠ করেন ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহ- সম্পাদক রেজাউল হক রুবেল।দীর্ঘ আড়াই মাস পেরিয়ে গেলেও তাপসের হত্যাকারী মূলহোতাদের কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়।
এতে আরো বলা হয়, তাপস হত্যাকান্ডের বিচার প্রার্থনাকারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হুমকি ,ধমকি সহ শারীরিক নির্যাতন করা হলেও প্রশাসন নিশ্চুপ ছিল। খুনিদের ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনতে প্রক্টরিয়াল বডি খুনিদের সাথে গোপন বৈঠকে মিলিত হয় ।
সর্বশেষ গত ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সহায়তায় ক্যাম্পাসে প্রবেশের কারণে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, তিন বারের নির্বাচিত মেয়র এ. বি. এম. মহিউদ্দীন চৌধুরীর অবদানকে ধূলিসাৎ করার জন্যে প্রতিক্রিয়াশীল একটি চক্র খুনিদেরকে দিয়ে এসব অপকর্ম করায়। আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদেরকে অনবরত সাহায্য করে যাচ্ছে। তা যদি না হয়, তাপসের খুনিরা শাহজালাল হলের সীলগালা রুমগুলোর চাবি পায় কীভাবে? দীর্ঘদিন ধরে তাপস হত্যাকান্ডের বিচার দাবি করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একাংশ।
এরইধারাবাহিকতায় প্রশাসনের নিকট ৬টি দাবি পেশ করা হয়। তন্মধ্যে ১৫ ফেব্রুয়ারি খুনিদের কে বাসায় আশ্রয় দেওয়া ও দায়িত্বে অবহেলায় অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের অপসারণ করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে মুখোশ উন্মোচনের দাবি নতুনভাবে যোগ করা হয়।প্রসংগত, গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী চত্বরে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষে তাপস সরকার খুন হয়। দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত রিপোর্ট দেয়া হয়নি।
Discussion about this post