কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতি নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে বিএনপি-জামাত সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ। সাধারণ সম্পাদক সহ ১৭ পদের ১৩ টিতেই বিজয়ী হয়েছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ। সভাপতি সহ বাকি ৪ পদে জয়ী হয়েছে আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ। সমিতির ২০১৮-১৯ সেশনের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল কুমিল্লার আদালত প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, উৎসবমুখর পরিবেশে আইনজীবী সমিতির ভোট গ্রহণ চলছে। আদালত প্রাঙ্গনে আ’লীগ সমর্থিত জেলা সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের মনোনীত সাদা প্যানেল ‘হাসেম-হারুন’ পরিষদ ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, কুমিল্লা ইউনিট মনোনীত নীল প্যানেল ‘মোস্তফা কামাল-মোঃ গোলাম মোস্তফা’ পরিষদ নামে দু’টি প্যানেলর অস্থায়ী প্যান্ডেলে আইনজীবীরা ভোটারদের হাতে হ্যান্ডবিল তুলে দিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন।
এদিকে আইনজীবী পরিষদের নির্বাচন হলেও দলীয় আইনজীবীর বাইরের মহানগরীর রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ দলীয় প্যানেলের অস্থায়ী প্যান্ডেলে ভিড় জমান। তারাও হ্যান্ডবিল নিয়ে দলীয় আইনজীবীদের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেন।
এদিকে নিজ নিজ প্যানেলের ভোটারদের জন্য দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। বেলা ১২টার পর থেকে নিজ নিজ প্যানেলের লোকজনকে টোকেনের মাধ্যমে খাবার সরবরাহ করা হয়।
বেলা আড়াইটার কিছু পরে সাবেক আইনমন্ত্রী এড.আবদুল মতিন খসরু আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে ভোট প্রদান করেন।
এদিকে বিকেল ৫টায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়। পরে রাত সাড়ে ৮টার কিছু পরে ভোট গণনা শুরু হয়। জানা যায় রাতভর ভোট গণনা শেষে আজ শুক্রবার ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
এদিকে জেলা আইনজীবী সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক ও ২০১৮-২০১৯ সেশনের নির্বাচন পরিচালনা সাব কমিটির আহবায়ক অ্যাড. সৈয়দ নুরুর রহমান জানান, সুষ্ঠ-শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্য দিয়ে কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির ২০১৮-১৯ সেশনের ম্যানেজিং কমিটি’র নির্বাচন সম্পন্ন হয়। এ বছর ১৭টি পদে ৩৪জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সর্বমোট ৯শ’ ৩৭ জন ভোটারের মধ্যে নির্দিষ্ট সময়ে ৮শ ৯৯ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
নির্বাচন পরিচালনা সাব কমিটির অন্যরা হলেন জেলা আইনজীবী সমিতি’র কোষাধ্যক্ষ অ্যাড. জাহাঙ্গীর আলম ভূইয়া ও সহকারী এনরোলম্যান্ট সেক্রেটারি অ্যাড. মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন ভূইয়া।
এবারের আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সাদা প্যানেল ‘হাসেম-হারুন’ পরিষদ ও নীল প্যানেল ‘মোস্তফা কামাল-মোঃ গোলাম মোস্তফা’ পরিষদ প্যানেলে ১৭টি পদে ৩৪জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ সাধারন সম্পাদক সহ ১৩ টি পদে বিশাল ব্যবধানে জয় লাভ করে।
সভাপতি পদে আওয়ামিলীগ সমর্থিত এডভোকেট আবুল হাসেম খান বিএনপি সমর্থিত অ্যাড. মোঃ মোস্তফা কামালকে পরাজিত করেন। সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে বিএনপি সমর্থিত অ্যাড. মোস্তফা কামাল আওয়ামিলীগ সমর্থিত অ্যাড. মমতাজুল করিমকে পরাজিত করেন। সহ সভাপতি পদে আওয়ামিলীগ সমর্থিত এডভোকেট জুল্ফু মিয়া বিএনপি সমর্থিত অ্যাড. আলী আশরাফকে পরাজিত করেন। সাধারন সম্পাদক পদে বিএনপি সমর্থিত এডভোকেট গোলাম মোস্তফা আওয়ামিলীগ সমর্থিত অ্যাড. মোঃ হারুনর রশিদকে পরাজিত করেন। সহ সাধারন সম্পাদক পদে বিএনপি সমর্থিত এডভোকেট আব্দুস সাত্তার আওয়ামিলীগ সমর্থিত অ্যাড. মোঃ নেয়ামত উল্যাহ্ চৌধুরী (জামান)কে পরাজিত করেন। ট্রেজারার পদে বিএনপি সমর্থিত এডভোকেট ইলিয়াস মজুমদার আওয়ামিলীগ সমর্থিত অ্যাড. শাহ্জাহান সিরাজকে পরাজিত করেন। লাইব্রেরি সম্পাদক পদে জামায়াত সমর্থিত এডভোকেট খন্দকার মোশারফ হোসেন আওয়ামিলীগ সমর্থিত অ্যাড. হালিমা বেগমকে পরাজিত করেন। রিক্রিয়েশান, কালচারাল এফেয়ার্স এন্ড সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সেক্রেটারি পদে বিএনপি সমর্থিত তাজুল ইসলাম আওয়ামিলীগ সমর্থিত অ্যাড. মোঃ সাইফুল ইসলাম ভূইয়াকে পরাজিত করেন। এনরোলম্যান্ট অব এডভোকেটস্ এন্ড ফার্ণিচার সেক্রেটারি পদে বিএনপি সমর্থিত এডভোকেট আবু তাহের আওয়ামিলীগ সমর্থিত অ্যাড. মোঃ শরীফ আহাম্মদ ভূইয়াকে পরাজিত করেন। সহকারি এনরোলম্যান্ট অব এডভোকেটস্ এন্ড ফার্ণিচার সেক্রেটারি পদে আওয়ামিলীগ সমর্থিত অ্যাড. নবেন্দু বিকাশ সর্বাধিকারী (দোলন) অ্যাড. মোঃ শাহিদুল ইসলামকে পরাজিত করেন। নির্বাহী সদস্য পদে বিএনপি সমর্থিত ৬ জন এবং আওয়ামীলীগ ১ জন
Discussion about this post