চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ নেটওয়ার্ক ফর ইন্টারন্যাশনাল ল স্টুডেন্ট (নীলস) বাংলাদেশ এর অন্যতম “আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় চট্রগ্রাম” চ্যাপ্টার এর উদ্যোগে ‘লিগ্যাল অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম’ চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলাধীন জিরি ইউনিয়নের “সৈয়দ আব্দুন নুর (এস এ নুর) উচ্চ বিদ্যালয়” এর বিশাল হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৩০০ এর অধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
ছাত্রছাত্রীদেরকে আইনি সচেতনতামুলুক আলোচনা মনোযোগ দিয়ে শুনে নিজেকে, পরিবার ও সমাজকে সচেতনতা করার উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে এবং লিগ্যাল অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রাম অত্র স্কুলে করার জন্য নির্বাচিত করায় নীলস আইআইইউসি চ্যাপ্টারকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রোগ্রামের শুভ উদ্ভোধন করেন অত্র স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানাব হারুনুর রশিদ।
উদ্ভোধনের পরেই শুরু হয় মনোমুগ্ধকর মুল আলোচনা পর্ব। প্রোগ্রামের কি-নোট স্পিকার ছিলেন “আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় চট্রগ্রাম” এর মেধাবী ছাত্র মেহেদি হাসান ও আবদুল হান্নান মুনির। উভয়ের আলোচনা শিক্ষার্থীরা উৎসাহের সাথে মনোযোগ দিয়ে শুনেন।
আলোচনায় স্পিকাররা বাল্যবিবাহ কি? কেন বাল্যবিবাহ সমাজের জন্য কেন অভিশাপ? কোর্ট মেরিজ কোন মেরিজ নয়! যৌতক দেওয়া ও নেওয়া কি অপরাধ? সাইবার ক্রাইম কি ও এর থেকে বেচে থাকায় উপায়। নারী ও শিশু নির্যাতন কি? এর থেকে পরিত্রাণের উপায় ও শাস্তি কি? ইভটিজিং কেন একটি সামাজিক ব্যাধি সহ আরও নানান আইনি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
মুল আলোচনা শেষে ছিল প্রশ্নোত্তর পর্ব, এতে প্যানেল স্পিকার হিসেবে ছিলেন আরিফুল হক তায়েফ ও টিমের অন্যান্য মেম্বাররা।
সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ পর্বে বক্তারা বলেন, আজকের আইনি সচেতনতা মুলুক প্রোগ্রাম তখনই সফল হবে, যদি আমরা আইন মেনে চলি এবং অপরজনকে সচেতন করি। এবং বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অত্র স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক জনাব নূর মোহাম্মদ ও সিনিয়র শিক্ষিকা ফরিদা ইয়াসমিন। সমাপনী পর্বে আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী শিক্ষক জনাব দ্বীপাল চন্দ্র শীল, শিক্ষক মোঃ সেলিম প্রমুখ।
“সৈয়দ আব্দুন নুর (এস এ নুর) উচ্চ বিদ্যালয়ে” প্রোগ্রাম আয়োজনে কনভেনর হিসেবে কাজ করেন অত্র স্কুলের প্রক্তন ছাত্র ও নীলস বাংলাদেশ’র কোর-মেম্বার কাজি ওয়ালিদ। তিনি বলেন- এই প্রোগ্রাম আয়োজনে অনুমতি দেওয়ায় স্কুল ম্যানেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষক জানাব হারুনুর রশিদকে ধন্যবাদ এবং আগামীতেও সামাজিক সচেতনা মুলক প্রোগ্রামে স্কুলকে পাশে পাবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।
প্রোগ্রামের টিম লিডার হিসেবে ছিলেন ওবাইদুল আকবর সম্রাট আর ডিপুটি হিসেবে ছিলেন আবদুল্লাহ আল সায়েম। আর পুরা প্রোগ্রাম কো-অরডিনেট করেন মিহির মিশকাত।
উল্লেখ্য যে, দ্যা নেটওয়ার্ক ফর ইন্টারন্যাশনাল ল স্টুডেন্টস (নীলস) ৬টি মহাদেশের ২৭টি দেশে আন্তর্জাতিকভাবে আইনের শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন কর্মশালা, প্রতিযোগিতা, ডেলিগেশান প্রোগ্রাম, রেসিডেন্শিয়াল স্কুল প্রোগ্রাম, আইনি সহায়তামূলক কার্যক্রম এবং আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করার মাধ্যমে আইন শিক্ষায় অবদান রেখে থাকে। বর্তমানে ‘নীলস বাংলাদেশ’ এর প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে আছেন পটিয়া উপজেলারই মেয়ে জনাবা নাসরিন সুলতানা এবং সেক্রেটারি হিসেবে আছেন জনাব রাফিউল ইসলাম এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে আছেন শেখ হাবিবুর রহমান।
Discussion about this post