নিজস্ব প্রতিবেদক: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। ফলে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালতে তার অনুপস্থিতিতেই বিচারকাজ চলবে। বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত শুনানি শেষে বিচারক ড. আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন।
এর আগে, আজও খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হননি। তার অনুপস্থিতিতেই বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত উভয়পক্ষের শুনানি হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন মোশাররফ হোসেন কাজল আর খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার।
‘অসুস্থতার কারণে’ তাকে গত সাত মাসে একবারও আদালতে হাজির না হওয়ায়, জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ করতে সরকারের নির্দেশে আদালত স্থানান্তর করা হয় কারাগারের ভেতরে।
গত ৫ সেপ্টেম্বর বিশেষ জজ আদালতের এই অস্থায়ী এজলাসে শুনানির প্রথম দিন খালেদা জিয়া নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়ে বিচারককে বলেছিলেন, তিনি বার বার আদালতে আসতে পারবেন না, বিচারক তাকে ‘যতদিন খুশি’ সাজা দিতে পারেন।
এরপর ১২ ও ১৩ সেপ্টেম্বর শুনানির নির্ধারিত দিনে কারা কর্তৃপক্ষ খালেদাকে আদালত কক্ষে আনতে ব্যর্থ হলে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪০(এ) ধারা অনুযায়ী তার অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ চালানোর আর্জি জানান দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।
এদিকে মামলার নথি পর্যালোচনা করে আদালত তার আদেশে বলেন, মামলাটি সাত বছর ধরে চলমান। এর মধ্যে তিনি ৪০ বার সময় নিয়েছেন। সার্বিক বিষয় দেখে প্রতীয়মান হয় যে, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে আদালতে হাজির হচ্ছেন না। এ অবস্থায় অন্য আসামিরা হাজির হচ্ছেন। তিনি হাজির না হওয়ায় বিচার বিলম্বিত হচ্ছে। ফলে তার অনুপস্থিতিতেই বিচারিক কার্যক্রম চালানো প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, এতিমখানা দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে।
Discussion about this post