নিজস্ব প্রতিবেদক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরের সহিংসতা রোধে পদক্ষেপ নিতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ভোটের দিন ধর্ষণের শিকার নারী ও তার পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে নোয়াখালীর পথে রওনা হয়ে কুমিল্লায় যাত্রাবিরতির সময় স্থানীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেন। এর আগে শনিবার সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে গুলশান থেকে বিএনপি নেতারা সুবর্ণচরের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন।
মির্জা ফখরুল বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনের পূর্বের সহিংসতা, নির্বাচনের দিনের সহিংসতা ও নির্বাচনের পরের সহিংসতার মধ্য দিয়ে আজকে গোটা বাংলাদেশে ক্ষমতাসীনরা একটা ত্রাস ও ভীতির নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, নোয়াখালীতে আমাদের একজন বোন ধর্ষিত হয়েছেন। আমরা এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছি এবং সারাদেশে সর্বত্র যে সহিংসতা হয়েছে, তার নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা জনগণের কাছে আহ্বান জানিয়েছি এই সহিংসতা প্রতিরোধ করার।
এই ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করে ফখরুল বলেন, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হল আবার। এই ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও দেশের প্রশাসন সম্পূর্ণভাবে এখন গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে।
এসময় ফখরুলের সঙ্গে একই গাড়িতে রয়েছেন নোয়াখালীর ওই আসনে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য, দলের ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব।
এছাড়া কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন খোকন, হারুনুর রশীদ, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, কেন্দ্রীয় নেতা রেহানা আখতার রানু, সৈয়দ আসিফা আশরাফী পাপিয়া এই সফরে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের পর রাতে বাড়িতে হানা দিয়ে অটোচালকের স্ত্রী, চল্লিশোর্ধ্ব ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয়; তার সন্তান ও স্বামীকে বেঁধে রাখা হয়েছিল। ওই নারীর অভিযোগ, ভোটকেন্দ্রে নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার জের ধরে তার উপর এই নির্যাতন চালানো হয়। এই ঘটনায়
পুলিশ স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাসহ মোট সাতজনকে গ্রেফতার করেছে; এর মধ্যে চারজন ওই নারীর করা মামলার আসামি।
Discussion about this post