নিজস্ব প্রতিবেদক: হুইল চেয়ারে করে সংসদে গিয়ে শপথ নিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। শপথ নেয়ার পর তিনি হুইল চেয়ারেই সংসদ ভবন ছাড়েন। এসময় তাকে অনেক ক্লান্ত লাগছিল। শপথ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সংসদের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমদ খান। এসময় র নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
আজ রবিবার দুপুর ১২টায় সংসদ ভবনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তার কার্যালয়ে এরশাদকে শপথ বাক্য পাঠ করান। এরপর তিনি শপথ বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের মধ্যে ২৮৯ জন শপথ নেন। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ সেদিন অুসস্থতার কারণে শপথ নেননি। এ ছাড়াও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৭ জন এখনও শপথ নেননি।
গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনে মহাজোট ২৮৮ আসনে জয়ী হয়েছে। এরমধ্যে জাতীয় পার্টির রয়েছে ২০টি আসন। মহাজোটের বিরোধী জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এ নির্বাচনে মাত্র ৭টি আসনে জয়ী হয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের অংশীদার জাপার অবস্থান কী হবে তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে ভোটের ফল আসার পর থেকেই।
সর্বশেষ খবর হলো ৪ জানুয়ারি এরশাধ দলীয় নেতাকর্মীদের দেয়া এক নির্দেশনায় বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। আর সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে থাকবেন এরশাদ নিজে, উপনেতা হবেন কো–চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
নির্দেশনায় এরশাদ জানান, জাতীয় পার্টির কোনো সংসদ সদস্য মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হবেন না। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে স্পিকারকে অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাওয়া না-যাওয়া নিয়ে এরশাদ ও তাঁর স্ত্রী রওশন এরশাদকে কেন্দ্র করে জাতীয় পার্টিতে দু’টি পক্ষ তৈরি হয়েছিল। রওশন ছিলেন নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে। শেষ পর্যন্ত জাপা নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিরোধী দল হওয়ার পাশাপাশি মন্ত্রিসভারও অংশ হয়। এ কারণে ‘গৃহপালিত বিরোধী দল’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় জাতীয় পার্টিকে।
Discussion about this post