নিজস্ব প্রতিবেদক: একাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়ে গেছে। ১৫১০টি আবেদনপত্র চুলচেরা বিশ্লেষণ করে ৪৩টি আসনে মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী শুক্রবার আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠক শেষে এ তালিকা ঘোষণা করা হতে পারে।
ক্ষমতাসীন এ দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের একাধিক সদস্যের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে এসব তথ্য।
গণভবন সূত্রে জানা যায়, সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি হওয়ার আশায় ১৫১০ আবেদনপত্র জমা পড়ে। আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ ও সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী; অভিনেত্রী, হিজড়াসহ বিভিন্ন পেশাজীবী নারীরা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। এ ছাড়া সমাজে বিশেষ অবদান রাখা নারীনেত্রী এবং প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতাদের সহধর্মিণী ও সন্তানরা সংরক্ষিত আসনে দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নির্যাতিত নারীও কিনেছেন এ ফরম।
দশম সংসদে সংরক্ষিত মহিলা আসন না পাওয়া ২৫ জেলার জন্য ২৫টি আসন রাখা হয়েছে। ঢাকায় এবার দুটি আসন কমিয়ে ৬টি করার চিন্তা করা হচ্ছে। সে হিসাবে বাকি ১২টি আসনে জাতীয় পর্যায়ে পরিচিত মুখ, বিভিন্ন পেশাজীবী ও আলোচিত নারী এবং পুরনোদের মধ্য থেকে মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, বিভিন্ন জরিপ সংস্থার রিপোর্ট ও প্রার্থীর পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্ত দেখে যোগ্যদেরই চূড়ান্ত মনোনয়ন দিতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে ৪ মার্চ ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। রবিবার কমিশনসভা শেষে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, এ নির্বাচনে অংশ নিতে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেয়া যাবে। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১২ ফেব্রুয়ারি ও প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
ইসি সচিব জানিয়েছেন, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে এবার আওয়ামী লীগ ৪৩টি, জাতীয় পার্টি ৪টি, বিএনপি ১টি, অন্যান্য দল ১টি (ওয়ার্কার্স পার্টি) ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জোটভুক্ত হয়ে ১টি সংরক্ষিত আসন পাবেন।
Discussion about this post