ক্রীড়া ডেস্ক: আসন্ন ভারত সিরিজে সাকিব আল হাসানকে অধিনায়ক করে টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ভারতে উড়াল দেওয়ার আগের দিন আচমকা বাংলাদেশের ক্রিকেটাঙ্গনে টালমাটাল অবস্থা। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গোপন করার দায়ে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা পান সাকিব আল হাসান।
এছাড়া অভিযোগ ওঠা ম্যাচের একটি ছিল আইপিএলের। আর জুয়াড়ি দীপক আগারওয়ালও ভারতীয় নাগরিক। তাই অনেকে ধরেই নেয় এই ঘটনার পেছনে কলকাঠি নেড়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই)।
কিন্তু সে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিসিসিআই। গতকাল এক বিবৃতিতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতি দমন বিভাগের প্রধান অজিত সিং শেখাওয়াত বলেন, আইপিএলের যে মৌসুমের ম্যাচ নিয়ে এত আলোচনা হচ্ছে, সে মৌসুমের সকল দুর্নীতিবিরোধী বিষয়গুলো আইসিসিই নজরদারি করেছে।
কোনো অভিযোগ উঠলে তা নিয়ে আইসিসিই কাজ করেছে, তদন্ত করেছে। এর সঙ্গে বিসিসিআইয়ের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তবে হ্যাঁ, আমরা আমাদের পক্ষ থেকে তথ্যপ্রমাণ দিয়ে যথাসাধ্য সাহায্য করেছি আইসিসিকে, কিন্তু এ বিষয়ে পুরো তদন্তটাই আইসিসি করেছে। বিসিসিআই না।
আইপিএলের যে ম্যাচ নিয়ে কথা উঠেছে সে ম্যাচে সাকিব ২৯ বলে ২৮ রান করেছেন। বল হাতেও ৩ ওভারে ১৮ রান দিয়ে মায়াঙ্ক আগারওয়াল ও অ্যারন ফিঞ্চের দুটি উইকেট তুলে নেন তিনি।
এমন পারফরম্যান্সের পর ঐ ম্যাচে ফিক্সিংয়ের কোনো প্রভাব ছিল না বলে প্রতীয়মান হয়েছে আইসিসির কাছে। তাই সাকিবের বিরুদ্ধে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ আনা হয়নি।
তবে দীপক আগারওয়ালের সঙ্গে ঐ সময়ে হোয়াটসঅ্যাপে কথা চালাচালি করেছেন। দেখাও করতে চেয়েছেন। তার মনেও হয়েছে আগারওয়াল একজন জুয়াড়ি। তবে এই বিষয় কারো সঙ্গে আলোচনাও করেননি।
Discussion about this post