নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর গুলশানের কূটনৈতিক পাড়ায় হলি আর্টিজান বেকারিতে নৃশংস জঙ্গি হামলা মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী জনাব আনিসুল হক।
বুধবার (২৭নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে হলি আর্টিজান মামলার রায় নিয়ে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। এমন চাঞ্চল্যকর যেসব মামলা দেশের শিকড়ে গিয়ে দাক্কা দেয়, সেগুলো দ্রুত শেষ করতে পারছি, সেটা সন্তুষ্টির কারণ। ২০১৬ সালে ১ জুলাই ঘটনার সময় প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় বলছিলেন অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এই রায়ের ফলে তার সত্যতা নিশ্চিত হয়েছে।
তিনি বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। রায় কার্যকরে আগামী সাত দিনের মধ্যে ডেথ রেফারেন্সের পেপারবুক তৈরি করে হাইকোর্টে পাঠানো হবে। যে খালাস পেয়েছে তাকে কেন খালাস দেওয়া হলো তা বলতে পারি না। রায়ের কপি পেয়ে বলতে পারবো। ২১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১১ জনের সাক্ষ্য নিয়ে রায় দেওয়া হয়, এই পরিমাণ সাক্ষ্যই পর্যাপ্ত মনে হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এই রায়ের মধ্য দিয়ে আমরা বিশ্বের কাছে প্রমাণ করতে পেরেছি, বাংলাদেশে যে কোনও অপরাধ সংগঠিত হলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তার বিচার সম্পন্ন হয়। আগামীকাল এমপি লিটন হত্যা মামলার রায় হবে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় এ বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পেপারবুক তৈরি করে হাইকোর্টে পাঠানো হবে।
একজন আসামি আইএসের টুপি পরে আদালতে এসেছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই জবাব কি আমি দিতে পারি। সেটা তদন্ত করা হবে। তবে এই বিষয় জবাব দেয়া সম্ভব না। আমি মনে করি এটি তদন্ত হওয়া উচিত। আমি প্রেস কনফারেন্স শেষে করেই এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলব।
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের সেই সন্ত্রাসী হামলারর সময় সেখানে ইতালি, জাপান ও বাংলাদেশের নাগরিকরা ছিলেন। এছাড়াও পুলিশ বাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যরা ছিলেন, যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে। সেই চেস্টা করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছেন তারা। মামলার ২১ জন আসামীর মধ্যে ৫ জন আসামী অভিযানে নিহত হন। আরো আটজন পরে বিভিন্ন অভিযানে নিহত হন। বাকি আটজন আসামী ছিলেন, তার মধ্যে ৭ জনকে সন্ত্রাস আইনে ফাঁসি ও মিজান নামে একজনকে খালাস দিয়েছে আদালত।
Discussion about this post