নিজস্ব প্রতিবেদক: ডাকসুর ভিপি নুরের ওপর হামলার ঘটনায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, হামলায় জড়িতদের পরিচয় হোক কাউকে ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই। অপকর্ম কারীকে আমরা অপকর্ম কারী হিসেবে দেখব, অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই দেখব, দুর্বৃত্তকে দুর্বৃত্ত হিসেবে দেখব। এখানে কোন প্রকার ছাড় দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক ইস্যুতে প্রেস ব্রিফিং এ তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ডাকসু হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক এবং সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। ডাকসুতে যে হামলা হয়েছে তা নিন্দনীয়। হামলার সঙ্গে যারাই জড়িত হোক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। দলের পক্ষ থেকে এ হামলায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এ ধরণের ঘটনায় সরকার অবশ্যই বিব্রত। তবে কোনো ঘটনাতেই সরকার নির্বিকার থাকেনি। ঘরের লোক দলের লোকের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
হামলার বিষয়ে কাদের বলেন, এ ধরণের ঘটনায় সরকার অবশ্যই বিব্রত হয়। তবে কোনো ঘটনাতেই সরকার নির্বিকার থাকেনি। ঘরের লোক দলের লোকের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। অনুপ্রবেশকারীরাও অনেক সময় অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটায়। সার্বিক বিষয়গুলো সিরিয়াসলি দেখা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ সরাসরি আমাদের দলের সঙ্গে জড়িত নয়। মঞ্চের একজন ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত। এ ধরনের নিন্দনীয় ঘটনা যারা ঘটায় তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বিষয়টা শেয়ার করেছি।
রবিবার দুপুরে ডাকসু ভবনের নিজ কক্ষে হামলার শিকার হন ভিপি নুর ও তার অনুসারীরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডাকসু ভবনের মূল ফটক বন্ধ করে নুরের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করা হয়। এছাড়া বাইরে থেকেও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল ছোড়েন। হামলায় অন্তত ৩২ জন আহত হন।
নুরসহ আহত ছয়জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে ফারাবীকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। সকালে তা খুলে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রি. জে. ড. এ কে এম নাসিরউদ্দিন। এছাড়া আহত বাকিদের চিকিৎসা দিয়ে ঢামেক থেকে ছেড়ে দেয়া হয়।
হামলার পর গতকাল সন্ধ্যায়ই আহত নুরকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের নতুন প্রেসিডিয়াম সদস্য নানক ও নাছিম। তবে হাসপাতালে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে পড়েন তারা। আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে সামনে পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে স্লোগানও দেয়া শুরু করেন অনেকে। এরপর তারা সাংবাদিকদের বলেন, হাসপাতালে যারা স্লোগান দিয়ে পরিবেশ নষ্ট করছে তারা কী উদ্দেশে এগুলো করছে, তা পুলিশ খতিয়ে দেখবে।
রাতে নুরকে দেখতে হাসপাতালে যান ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তিনিও শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন।
নুরের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনপিপন্থী শিক্ষকরাও হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।
Discussion about this post