সাইদুর রহমান হৃদয়: এই বাংলার দুঃখি মানুষের মুখে হাসি ফুটাবার জন্য, এদেশের মাুনষের অধিকার আদায়ের জন্য ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনকে তড়ান্বিত করার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্দু শেখ মুজিবুর রহমান ৪ জানুয়ারী ১৯৪৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে প্রতিষ্ঠা করেন তৎকালীন “পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ’’ নামে সে বীজটি বপন করেছিলেন তার নাম বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
পথচলার শুরুতেই ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬‘র ৬ দফা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুথান, ৭০’র নির্বাচন, এবং ১৯৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং এদেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। যতবারই মৌলবাদী শক্তি ও পরাজিত পাকিস্তানী প্রেতাত্বারা এদেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা করেছে ততবারই তাদের উচিত শিক্ষা দিয়ে পরাজিত করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। মূলত: ১৯৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় জাতির পিতার মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা এবং সকল পরিকল্পনা এদেশের আপামর মুক্তিকামী জনগণের নিকট পৌছানোর অগ্রণী ভূমিকা পালন করত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
এদেশের ইতিহাসে প্রিতীলতা সেন, তিতুমীর, মাষ্টার দা সূর্য সেনেরা স্বাধীনতার পথ দেখালও মহান স্বাধীনতা এনে দিতে পারেনি। পলাশীর প্রান্তরে এদেশের স্বাধীনতার যে সূর্য অস্তমিত হয়েছেল বঙ্গবন্দু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতার লাল সূর্য উদয় হয়েছিল মুজিব নগরের আম্রকাননে। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সকল কর্মসূচিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের যেমন প্রনবন্ত অবস্থান থাকে তেমনি যতবার স্বাধীনতা বিরোধী প্রেতাত্বারা দেশ বিরোধী যড়যন্ত্র করে তাদের দমনে ভেনগার্ডের দায়িত্ব পালন করে রাজপথকে প্রকম্পিত করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ইতিহাস আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাস। এদেশের সকল আন্দোলন সংগ্রামের নেতৃত্ব বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যেমন দেয় তেমনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বঙ্গবন্দু কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করা এবং তার নেত্বত্বে বাংলাদেশের সকল নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সকল আন্দোলন সংগ্রামের পাশাপাশি নৌকার বিজয়ের সকল হাসিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ অগ্রনী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক থেকে বর্তমান সকল নের্তৃবর্গ ও কর্মীবৃন্ধ জননেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আপামর ছাত্র সমাজের সেতুবন্দন তৈরি করে।
বার্ধক্য মানুষকে গ্রাস করে কিন্ত এই সংগঠনটিকে জন্মলগ্ন থেকে কখনোই বার্ধক্য টাচ করতে পারেনি, তারুন্যে উজ্জিবীত সংগঠন হিসেবে ১৯৪৮ থেকে অদ্যাবদি সকল মেধাবী ছাত্র সমাজ এই ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
ছাত্র সমাজের সকল অধিকার আদায়ের আন্দোলনের নেতৃত্ব যুগ যুগ ধরে দিয়ে আসছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এই তারুন্যের সবচেছে বড় অংশীদার এবং ধারক ও বাহক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
বাংলাদেশে ছাত্রলীগ কেবলমাত্র ছাত্রদের দিয়েই গঠন করা হয়, লক্ষ লক্ষ ছাত্রদের প্রিয় পাঠশালা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। তারুন্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্দুর স্বপ্নের বাংলাদেশ বির্নিমানে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবচেয়ে বড় শক্তি হিসেবে কাজ করছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যেই দূনীর্তি সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ, নারী নিপীড়ন, যৌন-নিপীড়ন, কিশোর গ্যাং ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন এই জিরো টলারেন্সকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তরুণ সমাজকে রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি বিপথগামীতার পথ থেকে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সামাজিকতা ও আলোর পথ দেখানোর জন্য মাননীয় নেত্রীর নেতৃত্বেকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
এই সরকারের নেতৃত্বে যে উন্নয়নের পথচলা শুরু হয়েছে, উন্নয়নের আলোর পথের যাত্রা শুরু হয়েছে তাতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ইনশাআল্লাহ।
Discussion about this post